একটু আগেই মাঠে ক্ষিপ্ত হয়ে ভেঙেছেন স্টাম্প। সাকিব আল হাসানের মেজাজ এমনিতেই হয়ে ছিল চড়া। ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে তিনি আরও একবার ক্ষিপ্ত হলেন। তার সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের।
ছবিতে দেখা গেছে সাকিব আঙুল উঁচিয়ে শাসাচ্ছেন সুজনকে। আবাহনী কোচও ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে যেতে চাচ্ছেন সাকিবের দিকে। যদিও ঘটনা থেমে গেছে এতটুকুতেই। ঘটেনি গায়ে হাত দেওয়ার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা।
মোহামেডানে সাকিবের সতীর্থ শামসুর রহমান শুভ ও বেশ কয়েকজন স্টাফ মিলে শান্ত করেন সুজনকে। সাকিবকেও ঠাণ্ডা করেন অন্য স্টাফরা। ব্যাট হাতে সময়টা সাকিবের একদমই ভালো যাচ্ছে না। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ছয় ম্যাচের দুটিতেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ফিফটি করতে পারেননি একটিতেও। শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠেই মেজাজ হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাটিং নয়, বোলিংয়ের সময়।
আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে এসে মেজাজ হারিয়ে স্টাম্প ভাঙেন তিনি। মূলত ওভারের এক বল বাকি থাকতে খেলা শেষ করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন সাকিব। তুলে ফেলেন স্টাম্প। অনেকদিন ধরেই সাকিবের মানসিক অস্বস্তি নিয়ে কথা চলছিল।
সুজনের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে মোহামেডানের ম্যানেজার শিপন বলেন, ‘সাকিবের উদ্ধত হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ ছিল। আপনারা মাঠে ছিলেন, আপনারা দেখেছেন। আম্পায়াররা খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই গ্রাউন্ডসম্যনরাসহ কিউরেটরও ছাতা নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে মাঠে নেমে গেছে।’
সুজনের সঙ্গে সাকিবের কথা কাটাকাটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় সাকিবে এটাই বলে গেছিলেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে। তখন দুজনের কথা কাটাকাটি হয়।’ সাকিবের এই কাণ্ডে আপনাদের দলগত সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে শিপন বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করবো না। অফিশিয়ালই জানিয়ে দেওয়া হবে।’