ঢাকা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বনানীর বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর ১১ নম্বর রোডের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল রাত থেকে আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত এই ভবনে লুটপাট চলছিল।
ওই হামলার সময় নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় ছিলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে দুর্বৃত্তদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান তিনি। এ সময় বাড়িতে থাকা সাঈদ খোকনের তিনজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত ১১টা ১০মিনিটে হঠাৎ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রায় ৪০০ জন লোক সাঈদ খোকনের বাসার সামনে যান। এক পর্যায়ে বাসার প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এলোপাথারিভাবে বাসার দরজার জানালা, গ্যারেজে থাকা ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ সময় ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিলেন সাঈদ খোকন। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি থেকে বিকল্প আরেকটি সিঁড়ি দিয়ে বের হেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টা থেকে সারারাত এই বাড়িতে লুটপাট চলে। লুটপাট করা মালামাল যে যার মতো করে নিয়ে যান। তবে অধিকাংশ মালামাল গুলশান-বনানী লেকের পশ্চিম পাশ ঘেষে তৈরি রাস্তা দিয়ে কড়াইল বস্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের লুটপাট বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ সেখানে যাননি।
বনানী ১১ নম্বর রোডের সেতু সংলগ্ন বাড়িটি সাঈদ খোকনের।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির ফার্নিচার, চেয়ার-টেবিল, টিভি-ফ্রিজ, এসি, বৈদ্যুতিক পাখা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এখন শুধু জানালা, দরজার গ্রিলসহ বাড়িতে ব্যবহৃত স্টিলের সব মালামাল যে যার মতো করে খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ এই দৃশ্য দেখছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
সাঈদ খোকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদ আলম ইমন এমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।