চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের ৭০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। শহরটির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল রুইজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সাংহাই কোভিড এক্সপার্ট অ্যাডভাইসরি প্যানেলের সদস্য ডা. শেন এরঝেন নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
মঙ্গলবার সাংহাইয়ের দাজিংডং স্টুডিওতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম মুখপত্র পিপলস ডেইলিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শেন এরঝেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘সাংহাইয়ে বন্যার মতো করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের ধারণা, শহরের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত। ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিলের তুলনায় এ হার ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি।’
আড়াই কোটি মানুষ অধ্যুষিত সাংহাইয়ে গত বছর মার্চের দিকে একবার করোনার ঢেউ শুরু হয়েছিল। সে সময় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। সংক্রমণের বিস্তার রোধে ২০২২ সালের এপ্রিলের দিকে ২ মাসের কঠোর লকডাউন জারি করেছিল চীনের সরকার।
কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিপর্যয়কর উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে ডা. শেন এরঝেন বলেন, ‘গত মার্চ-এপ্রিলের মতো এবারও করোনার ওমিক্রন ধরনের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে; এবং যে গতিতে এটি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে চলতি জানুয়ারির মধ্যেই সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে সাংহাই।’
তিনি আরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে ১ হাজার ৬ শ’রও বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন সাংহাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে।
‘আমি যে হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেই রুইজিনের কম্পাউন্ডেই প্রতিদিন আসছে ১০০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স,’ পিপলস ডেইলিকে বলেন এনঝেন।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেতরে আর স্থান সংকুলান না হওয়ায় সাংহাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের গেটের কাছে এবং গ্যারেজেও আশ্রয় নিচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীরা, সেখানেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে তাদের।
চীনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন—রাজধানী বেইজিং, তিয়ানজিন, চংকুইং এবং গুয়াংঝৌসহ দেশটির প্রায় সব বড় শহরে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কয়েকটি শহরে সংক্রমণ চুড়ান্ত পর্যায়ে উঠেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।