পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা এবং পরে শাহবাগ থানায় মামলা করার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত তার মুক্তি চেয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। সংগঠনের সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির সোমবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে এক যৌথ বিবৃতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সচিবালয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অপ্রত্যাশিত এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
বিআইজেএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আটকে রাখা, হেনস্তা করা, চিকিৎসা না করে থানায় হস্তান্তর করা ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে সবাই একসঙ্গে লড়বে সেখানে সাংবাদিককে হেনস্তা ও আটক কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না।’
এমন ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করে বিআইজেএফ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো কালো হাত গণমাধ্যমকর্মীদের রুখে দিতে পারবে না। স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেখানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের সাংবাদিক হয়রানি করতে উৎসাহ দেয়া হলো। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’ সব শেষে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফ।