আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তাদের আরও পরিপক্বতা দরকার বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৬ তারিখ প্রেসক্লাব কলামিস্টদের একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তা মিডিয়ার হেড লাইনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। হেড লাইনে বলেছে, আমেরিকা যুদ্ধবাজ, এসব কথা আমার মুখেও আসেনি। কিন্তু ১৭টি মিডিয়া এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়েছে। আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে এবং তাদের পরিপক্বতা দরকার। আপনারা সেভাবে নিউজ প্রকাশ করলে আমি খুশি হবো।
তিনি আরও বলেন, যে সব সাংবাদিক এটা করেছেন তাদের জন্য লজ্জার বিষয়, আপনাদের জন্য দুঃখের বিষয়। আপনাদের সহকর্মীরা এরকম বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা হয়তো বাংলা বোঝেন না, না হয় ইচ্ছা করেই মিথ্যা প্রচারণা করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মিথ্যা প্রচারণার কারণে যেটি অসুবিধা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এখন গবেষণা করা উচিত, কেন এতো নিম্নমানের সাংবাদিকতা হলো।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।