সহিংসতার আশঙ্কার মধ্যে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোট আজ সোমবার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২২ জেলার ৪২ উপজেলার ২১৮টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২১৬ ইউপিতে ইভিএমে এবং মাত্র দুটি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-অজানা শঙ্কা রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। ভোট নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনি সব এলাকায়। অনেক জায়গায় ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। যদিও সহিংসতার ঘটনায় ‘অস্বস্তি’ ও ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর পদক্ষেপে নেওয়ার কথা বললেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এই ধাপে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে ইভিএমসহ অন্যান্য নির্বাচনি সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মতে, এবারের ইউপি নির্বাচনে ইসির কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচন কমিশন অনেকটা অসহায়। প্রতিটি ধাপের ভোটের দিন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ভোট সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিকের মতো। প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আসাই স্থানীয় সংসদ সদস্যদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচনি এলাকায় ইতিমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়া গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এসব এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাও বন্ধ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি এলাকায় টহল শুরু করেছেন। তারা থাকবেন ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।