যশোরের শার্শা উপজেরার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থামছেই না। গত দুই সপ্তাহে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে শতাধিক বাড়িঘরে। আহতও হয়েছেন অনেকে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, নৌকায় ভোট দেয়ায় বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে তাদের ওপর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন। নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে প্রাণও যায় একজনের।
২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণেরও পরও থামেনি সহিংসতা। গত দুই সপ্তাহে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগও আছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ, সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। প্রাণভয়ে ১০টি গ্রামের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী এলাকাছাড়া বলেও অভিযোগ করেন নৌকার পরাজিত প্রার্থী ইলিয়াস কবীর বকুল। তবে এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জুর। অন্যদিকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।