গগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশ প্রেমিক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না শুনে সরকার লুটপাটের পথে হেঁটেছে। আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে লুটপাটের কারণে দেশ আজ বিদ্যুৎ সংকটে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেইটা চালানোর মতো সামর্থ্য নেই। জ্বালানি কেনার পয়সা নেই, কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা-রংপুর রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে ডলারে। প্রধানমন্ত্রী এমন ব্যবস্থা চালু করলেন যে কয়লা কেনার পয়সা না থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে দরকার সেখানে না করে অন্য জায়গায় টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি বিদ্যুৎ সংকটের সকল দায় সরকারকে নিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ঢোকাচ্ছেন। এতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী মানুষের কষ্টের কথা বলছেন, অথচ মানুষের কষ্টের মূল কারণ যে তিনি এবং তার নীতি সেদিকে তিনি তাকাচ্ছেন না। উল্টো তারা মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্তি করছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের সাংবিধানিক কাঠামো লাগবে। সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করে সংসদ, বিচার বিভাগ, সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে আর কেউ নিজের জমিদারি বানিয়ে ফেলতে না পরে।
সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্য এমন সরকার ব্যবস্থা হবে যে, সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, মানুষ ন্যায্যতা ফিরে পাবে।
মতবিনিময় সভায় নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সিরাজগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক নুর হোসেন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।