এই সরকার ধরা খেতে শুরু করেছে। মন্ত্রী ও আইনজীবীরা ধরা খেতে শুরু করেছে। এই সরকারের গণতন্ত্র ধরা খেতে শুরু করেছে। জঙ্গিবাদ দমনের নামে যে চালবাজি, তা ধরা খেতে শুরু করেছে। এই সরকার সব দিক থেকে ধরা খেয়ে যাবে আর বের হতে পারবে না- বলেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতি, বিজয়ের ৫০ বছর এবং বর্তমানের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য পথ হারানো তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মুরাদ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম ‘উজ্জ্বল’ করেছে। দুবাই কানাডা ঘুরে তাকে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে। এমন ধরা খেয়েছে তাকে এখন আর চেনা যায় না। মুখ ঢেকে ক্যাপ পরে তাকে ফিরে আসতে হলো।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শপথের বিষয়টি উল্লেখ করে মান্না বলেন, এই বিজয় দিনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন বাংলার জনগণকে, এই শপথ থেকে আমি কিছু শেখার চেষ্টা করলাম। তখন আমার মনে হলো, উনি নিজে শপথ করেছিলেন, কিন্তু পালন করেছিলেন? ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন, কিন্তু আজকে চালের কেজি কত? ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন, কিন্তু ৪ কোটি লোক বেকার। শপথ কোথায়?
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, আমাকে বলা হয়েছে, আপনি প্রধানমন্ত্রীর একটু বেশি সমালোচনা করেছেন, একটু হুশিয়ার থাকবেন। আচ্ছা কী হুশিয়ার থাকব। একটা হুশিয়ার থাকতে পারি, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আর বলব না। আমি বলতেও চাই না। আমি উনাকে সম্মান করি। উনি সরাসরি আমার নেতা ছিলেন। আমি তো ওই দল করেছি এবং তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
মান্না বলেন, আমরা একটি দল গঠন করতে চাই। যা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠন করব। যাদের নিয়ে এ দেশ বদলে দেওয়া সম্ভব। একটা কল্যাণ রাষ্ট্র হতে পারে সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও মানবিক। বারাক ওবামার মতো বলতে চাই- ইয়েস, ইউ ক্যান।