দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, অতীতের মতো এবারও সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণেই সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে চলছে। সরকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা ও অস্পষ্টতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
শনিবার (২০ মার্চ) দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংক্রমণের হার যখন বেড়ে চলেছে তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, বইমেলা চালু ও জনগণের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগ গ্রহণের ব্যর্থতা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছে বিএনপি। পদক্ষেপগুলো হলো- জনগণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত আইসিইউসহ চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সহজলভ্য করা। ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ জনগণকে অবহিত করা।
সভায় বিএনপির করোনা আক্রান্ত নেতাকর্মীদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সভায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর, লুটপাট এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায় বিএনপি।
লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।