ছাত্রলীগের সম্মেলন দাবি করায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকের মধ্যেই সংগঠনটির দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
বৈঠকের শেষ দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা কারা জানি সম্মেলন নিয়ে ফেইসবুকে লেখালেখি করেছো? এটা ঠিক নয়। এ সময় ছাত্রলীগের উপপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মিশকাত জয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাই আমরা সম্মেলন চাই কারণ বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এক বছরের বেশি। তাই সম্মেলনের তারিখ ঠিক করে আপাকে জানান। কারণ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেরই বয়স ২৯ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই সম্মেলনের তারিখ দিলে আমাদের মধ্যে অনেকেই নেতা হতে পারবেন। সভায় উপস্থিতি একাধিক নেতা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মুজিবশতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ জরুরি সভা আহ্বান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান কথা বলতে শুরু করেন। তিনি কথা বলার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির কথা তুলে সম্মেলনের দাবি করেন। সম্মেলনের কথা উঠলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘নেত্রী বললে তখন সম্মেলন হবে।’ তখন আরিফুজ্জামান ইমরান বলেন, ‘নেত্রীকে আপনাদের বলতে হবে।’ তার কথায় সমর্থন দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা বলবেন না। আপনারা একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেন। তারা গিয়ে নেত্রীকে বলবে।’ সভাপতি তখন নেত্রীকে জানাবেন বলে জানান। তখন সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান নোবেল, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, আরিফুজ্জামান আল ইমরানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কার্যালয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিস্থিতি শান্ত করতে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় রাকিবুল হাসান নোবেলকে সভা থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।