বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সমুদ্রসীমায় নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করেছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, সমুদ্রসীমায় অধিকার নিয়ে ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু সমুদ্রসীমাই নয়, স্থলসীমা নিয়েও কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। জাতির পিতা যেখানে রেখে গিয়েছিলেন সেখানেই পড়েছিল।
‘আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই সাথে সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। পরবর্তীতে সেটা কার্যকর করা হয়নি। ২১ বছর পর আমরা যখন সরকারে আসি, এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তখন কাজগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে শুরু করতে হয়েছিল। আমাদের সমুদ্রসীমা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য জাতিসংঘে আমরা সই করে আসি।-বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বঙ্গোসাগরীয় অঞ্চলের বাণিজ্য ব্যবস্থায় যেন কোনো দ্বন্দ্ব না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল সমসময়ই নিরাপদ। দ্বন্দ্ব সংঘাত যেন না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবেই যেন অব্যাহত থাকে।
বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী এমনটা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত মহাসাগরীয় নৌরুটে কোনো দ্বন্দ্ব আশা করি না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় জাতির পিতার এই নীতি নিয়েই চলছে সরকার।