আকাশপথের পর এবারই প্রথম সমুদ্রপথেও বিদেশে কাঁঠাল রপ্তানি করা হয়েছে। গত মে মাসে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে ৩ হাজার ৫০০ কেজি (সাড়ে ৩ টন) কাঁঠাল দুবাই পাঠিয়েছে ঢাকার রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান।
পরিবহনে ২৬ দিনের বেশি সময় লাগার পরও তাদের পাঠানো কাঁঠালগুলোর মান ঠিক থাকায় সমুদ্রপথে কাঁঠাল রপ্তানিতে আশার আলো তৈরি হয়েছে। রপ্তানিকারকরা জানান, সমুদ্রপথে ফল রপ্তানিতে সরকার যদি সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে, তাহলে তৈরি হবে নতুন দিগন্ত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন ও আয়ারল্যান্ডে কাঁঠাল রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যেই কাঁঠালের চাহিদা বেশি। বিমানে করে খুব অল্প সময়ে বিদেশে পাঠানো যায় বলে এতদিন কাঁঠাল রপ্তানিতে আকাশপথকেই বেছে নিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
এ বিষয়ে ইউনিভার্স স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুজ্জামান মানিক বলেন, সমুদ্রপথেও বিদেশে কাঁঠাল রপ্তানি করা সম্ভব। গত মে মাসে আমরা ৩ হাজার ৫০০ কেজি কাঁঠাল দুবাইতে রপ্তানি করেছি। জাহাজটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২ দিনে দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দরে গিয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু সেখানে সময় লেগেছে প্রায় ২৬ দিন। এরপরও কাঁঠালগুলোর মান ঠিক ছিল।
তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশের বেশি কাঁঠালের গায়ের রঙ একেবারে স্বাভাবিক ছিল। বাকি ৬০ শতাংশের মতো কাঁঠালের গায়ের রঙ কিছুটা কালো হলেও ভেতরে ফলের কোনো সমস্যা হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে সমুদ্রপথে কাঁঠাল, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল রপ্তানি করব। আনারস রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যে আমরা টাঙ্গাইলে একটি ওয়্যারহাউস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচালক (রপ্তানি) একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ হাজার ৮৩ টন কাঁঠাল রপ্তানি হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের গত ১ জুলাই থেকে এই পর্যন্ত ৪৪৮ টন কাঁঠাল রপ্তানি হয়েছে।
এর আগের বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ২৪ মেট্রিক টন কাঁঠাল রপ্তানি হয় বলে তিনি জানান।