টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে। আশঙ্কাটা যে একেবারে নতুন তা নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনাটা অনেকটা পরোক্ষভাবেই উসকে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। আর তাই ক্রিকেটের প্রাচীনতম সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেট এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠেছে।
আসছে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। কিউইদের বিপক্ষে সেখানে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে প্রোটিয়ারা। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে ভারতকে হারানো দলের মাত্র তিনজন ক্রিকেটার আছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াডে। এই দলের অধিনায়কসহ ৭ জন ক্রিকেটার আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়।
আসন্ন টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে নেতৃত্ব দেয়ার ভার ওঠেছে নিল ব্র্যান্ডের কাঁধে। ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই এখনো পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেননি ব্র্যান্ড। ৫০ বছরের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
আগামী ১০ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ (এসএটি২০)। আর এতে অংশ নেয়ার কারণেই কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে থাকবেন না প্রোটিয়াদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা।
এদিকে এমন আশঙ্কার মাঝে সবাই মিলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে মিলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হবে। এতা শুধু এক-দুইটি দেশের দায়িত্ব নয়, বরং সবগুলো ক্রিকেটখেলুড়ে দেশকে মিলেই এ কাজ করতে হবে।’
‘বিভিন্ন সময়ই আমরা দারুণ প্রতিযোগীতাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ দেখতে পাই, তাই টেস্ট ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দায়িত্বও সবারই।’
এর আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে দক্ষিণ আফ্রিকার সিনিয়র ক্রিকেটারদের না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার এমন কাজ করার কারণ কি তা আমি জানিনা, তবে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবসময় সেরা খেলোয়াড়দেরই দেখতে চাই। সাদা পোশাকের এই লড়াইকেই সবসময় সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া উচিত।’