৮০ বছর বয়সী সন্ধ্যা রায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই অভিনেত্রীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে গিয়েছে। গত ৮ মে সন্ধ্যা বর্ষীয়ান এই তারকার অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ছিলো ৯৬। যা ৯ মে বিকেলে ৯৪ হয়ে গিয়েছে। তার পালস রেট ৬৮-র কাছাকাছি রয়েছে। রক্তচাপ সর্বোচ্চ ১৩০ এবং সর্বনিম্ন ৮০। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর সুগারের মাত্রাও ওঠানামা করছে।
হাইপারটেনশন ও হাই ডায়াবেটিস রয়েছে সন্ধ্যা রায়ের। কিডনির সমস্যাও হচ্ছে। সেই কারণে ইউরিন, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম লেভেল টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। গত ৭ মে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। কিন্তু ৮ এপ্রিল তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলে একইদিন তাকে উডল্যান্ডে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রসূন মিত্রের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে প্রবীণ এই অভিনেত্রীর। নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জন্মের কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে গিয়েছিলো তার পরিবার। পরে ১৯৫৭ সালে ভারতে ফিরে আসেন সন্ধ্যা রায়।
সিনেমার জগতে সন্ধ্যা রায়ের প্রবেশ ছয়ের দশকে। ‘মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বাবা তারকনাথ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘গণদেবতা’ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। বিএফজেএ এবং কালাকার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। ভোটে জিতে মেদিনীপুরের সাংসদ হন তিনি।