মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তবুও ঈদ আনন্দের। না পাওয়ার মাঝেও অনেক কিছু পাওয়া। তাই ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, হাসি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক, এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
ঈদে আনন্দ উদযাপনের বিপরীতে মধ্যবিত্তরা মুখ লুকিয়ে কাঁদছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সমাজে তৈরি হয়েছে ধনী ও গরিবের বিশাল ব্যবধান। অধিকাংশ মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটানো যেন দুঃস্বপ্ন। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা দেখতে পাচ্ছি গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কর্তৃত্ব করছে এক নিষ্ঠুর নাৎসী সরকার।
তিনি বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিনা অপরাধে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বন্দি রাখা হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
প্রতিদিন আমাদের কেউ না কেউ হত্যা, না হয় গুম, না হয় জেলে বন্দি করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সারাদিন ধরে প্রায় প্রতিদিন আদালতে সময় পার করতে হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ মানুষের চাকরি নেই, বন্ধ হয়ে গেছে ব্যবসা। ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপরে মিথ্যা মামলায় প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর মধ্যে কেউ কারাগারে, কেউ মানবেতর অবস্থায় ঘরছাড়া-বাড়িছাড়া হয়ে জীবনযাপন করছে।
এবারের ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হবে দাবি করে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বাসের টিকিটের দাম আকাশ ছোঁয়া। পরিবহনখাত আপাদমস্তক অনিয়ম দুর্নীতির কারখানা। ঈদ উপলক্ষ্যে চলছে সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি।
তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকেরা গত মার্চ মাসের বেতন ৮ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল পর্যন্ত পাননি বলেও দাবি করেন রিজভী। বলেন, ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।
রমজানে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংসতা থেমে নেই উল্লেখ করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ফেনী জেলাধীন কালিদহ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আওয়ামী সন্ত্রাসী রুবেল মেম্বারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গিয়ে ইফতার মাহফিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাফর ইকবাল হেলাল, যুবদল নেতা আল ইমরান ও আনোয়ার হোসেনসহ প্রায় ১০ জন নেতাকমীর্কে মারধর করে গুরুতর আহত করে।