নেত্রকোনার পূর্বধলায় সড়কে পড়েছিল অজ্ঞাত এক রক্তাক্ত নারীর (৩০) লাশ। পাশেই পড়েছিল দুই বছর বয়সী জীবিত এক ছেলে শিশু।
নিহত ওই নারীর মাথায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতের কয়েকটি ক্ষত রয়েছে। আর শিশুটির মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে শিশুটি জীবিত রয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের কাছিয়াকান্দা গ্রামে একটি কাঁচা সড়কে পড়ে থাকা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পরেনি পুলিশ। তবে পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরে উপজেলার কাছিয়াকান্দা গ্রামের এক ব্যক্তি গ্রামের একটি সড়কের ওপর ২৫-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারী ও তার পাশে একটি দুই বছর বয়সী শিশুকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর শিশুটি জীবিত থাকায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠানো হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম জানান, ওই নারীর মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাতের ক্ষত রয়েছে। আর শিশুটির মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জ্ঞান ফেরে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত নারী পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পিবিআই। পরে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।