বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ সংসদে জানান, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত এই উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া/বেটিং, গেমিং, ফরেক্স/ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি মত অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে একদিকে যেমন দেশ হতে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে এবং ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, অনলাইন জুয়া/বেটিং এবং হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অভিযোগে ৫ হাজার ৭৬৬ জন এজেন্ট এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে হুন্ডি লেনদেনে জড়িত সন্দেহে ৫ হাজার ২৯টি এমএফএস এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ১০ হাজার ৬৬৬টি এমএফএস এজেন্ট হিসেবের লেনদেন ব্লক করা হয়। হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে ২১টি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান ও এদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৩৯টি হিসেবের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী সংসদে আরও জানান, অবৈধ হুন্ডি গেমিং, বেটিং সংক্রান্ত এক হাজার ৯৬টি ওয়েবসাইট, ১৮২টি অ্যাপ ও এক হাজার ২ ফেসবুক ফেজের তথ্য বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।