আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ভাবছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংলাপ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের সংলাপের আর প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এ অবস্থানের কথা জানান তিনি।
কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হবে। রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই। আমরা তফসিলসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাব।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়। পরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল তাতে অংশ নেয়নি। ফের চিঠি দিয়ে সংলাপের কথা বললেও ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। অথচ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। ফলে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে রাজনীতির ভেতরে-বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে সংলাপের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন এই নির্বাচন কমিশনার।
তফসিল কবে হবে এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তফসিল নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। অক্টোবরে তফসিল হবে কি না জানি না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যদি নির্বাচন করি তাহলে ৪৫ দিন আগেই করতে হবে।’
‘নুররা ঘেরাও করলে ঘেরাও হয়ে থাকব’
এদিকে মঙ্গলবার নিবন্ধন না পাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে যায় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতাকর্মীরা। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা অবশ্য বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে যায়। পরে প্রতিনিধি দল গিয়ে নিজেদের বক্তব্য ইসিকে জানিয়ে আসে।
নুরের গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‘তারা কী করবে? আমাদের ঘেরাও করলে ঘেরাও হয়ে বসে থাকব। বিচলিত হব না। সারাদেশেই তো রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে। স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলছে। হয়ত সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে, চলাচলের সমস্যা হবে।’
আনিছুর বলেন, ‘তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) ক্ষোভ থাকতেই পারে। কমিশন ঘেরাও করার অধিকারও তাদের আছে। করুক। যদি কেউ ঘেরাও করে আমরা ঘেরাও হয়ে থাকব, অসুবিধা নেই।’
নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা ২৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছি আপত্তি জানানোর জন্য। যারা নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মনে করে তাদের আপত্তি জানানোর জন্য। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছে। কালকের পর আমরা এটা নিয়ে বসব।’