বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ভয় করেন না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্ত সব সময় থাকে, ওসবে ভয় করি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গেল ১৪ বছরে গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি করেছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করা দরকার করছি। প্রত্যেক এমপিকে নিজ এলাকার মানুষকে দেখতে হয়। আমাকে দেখতে হয় ৩০০ আসনের মানুষকে।
শেখ হাসিনা বলেন, টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়ার মানুষ আমাকে বারবার নির্বাচিত করছে। তারা আমাকে দেখে। তাই নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারি।
জনগণের ভোট আওয়ামী লীগের আছে দাবি করে দলটির সভাপতি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই, জনগণ আমাদের সাথে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড, গুলি, বোমা সবকিছু মোকাবিলা করেই এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ একটা মানুষকে কাজ দেয়। সেই দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনিই তাকে রক্ষা করেন। তাই উপরে আল্লাহ আর নিচে আমার দলের লোক, সব সময়ই বড় বড় আক্রমণে ঢাল হয়ে আমাকে রক্ষা করেছে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ১৪ বছরে দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এর মধ্য দিয়ে আমরা অর্থনৈতিক উন্নত করতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি, হতদরিদ্র্য ১৫ ভাগ থেকে ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। যদি করোনা অতিমারি না হতো আর ইউক্রেন যুদ্ধ না হতো তাহলে অন্তত আরও দুইভাগ দারিদ্র্যের হার কমানো যেতো। মানুষের কল্যাণে যা যা করা দরকার সেটা করছেন বলেও জানান সরকারপ্রধান।
গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গার জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় যান এবং সেখানে রাত যাপন করেন। আজই তার ঢাকায় ফিরে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার হেঁটে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।