টালিউডের গুণী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র আজকের লাইভ একেবারে ভিন্ন। আজ তিনি হাউমাউ করে কেঁদেছেন, কান্নায় একেবারে ভেঙে পড়েছেন। কান্না জড়ানো কণ্ঠে বললেন, তিনি এখন যেই ফ্ল্যাটে থাকেন, সেটা বিক্রি করে দেবেন। কিন্তু কেন?
এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল আরও একটি লাইভে। ৫ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন তিনি। তাতে দেখা যায়, তিনি যেই আবাসনে থাকেন, সেটার নিচে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন। শ্রীলেখা এক কথা বলছেন, তো ওই পক্ষের তিন-চারজন মিলে জবাব দিচ্ছেন।
শ্রীলেখা রাস্তার কুকুর এনে খাবার দিচ্ছিলেন। যেটা তিনি প্রায়শই করেন। এ নিয়ে আগেও একাধিকবার ঝামেলা হয়েছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে। সেই ঝামেলা থানা অব্দি গড়ায়। শুক্রবারও রাস্তার কুকুর ডেকে খাওয়াতে গেলেন। তখনই বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী তাকে বাধা দেয় এবং তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। কেউ তার বাসার সামনে আবর্জনা ফেলার হুমকি দেয়, কেউ আবার তার বাসার কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে বলে শ্রীলেখার অভিযোগ।
শ্রীলেখা বাসায় ফিরে দ্বিতীয়বার লাইভে আসেন । তখন তিনি বলেন, ‘আমি কিছু দিন আগে বাবাকে হারিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবে ভালো নেই। মুখের উপর অপ্রিয় সত্যটা বলে দিই। এ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেককে চটিয়েছি। আসলে আমার একার পক্ষে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি আমার রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছি। কিন্তু এখানে আর থাকব না। এই কমপ্লেক্স ছেড়ে দেব।’
গত করোনাজনিত লকডাউনে গত বছর থেকেই রাস্তার অসহায় কুকুরকে খাবার দিয়ে আসছিলেন শ্রীলেখা। অনেকের কাছে তার এই ভূমিকা প্রশংসিত হলেও প্রতিবেশীরা ভালোভাবে নেয়নি। সে কারণেই বিপত্তি।