শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড। ১৬৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকার ইনিংস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় শ্রীলংকা। দলীয় ২৪ ও ৩৪ রানে ফেরেন চারিথ আসালঙ্কা ও কুশাল পেরেরা। এরপর ৫৭ রানে ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ১০.৫ ওভারে ৭৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় ইংলিশরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। ১.২ ওভারে দলীয় ১৩ রানে লংকান লেগ স্পিনার ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন জেসন রয়। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মালান। তিনি দুশমন্ত চামিরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। ৩৫ রানে প্রথম সারির ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জস বাটলার।
১৮.২ ওভারে দলীয় ১৪৭ রানে সজোরে ব্যাট চলাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মরগান। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অধিনায়ক মরগান ফিরে গেলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান জস বাটলার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে খেলেন শেষ বল পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রান করেন এ তারকা ব্যাটসম্যান। সংক্ষিপ্ত স্কোর ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬৩/৪ (জস বাটলার ১০১*, ইয়ন মরগান ৪০, ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গা ৩/২১)। শ্রীলংকা: ১৮.৬ ওভারে ১৩৭/১০ (ভানুকা রাজাপক্ষে ৭৬, আভিস্কা ফার্নান্দো ৫৭ , কুশাল পেরেরা ৩৪)