গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত রোগী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার ঝালকাঠি জেলা সদরের রমানাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের এক প্রতিষ্ঠানের কর্মী।
রোগীর স্ত্রী রুবিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, বাম পায়ে লোহার কণা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার স্বামী। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঐ হাসপাতালের অভ্যর্থনা শাখায় চিকিত্সার পরামর্শ নেন লতিফ। এ সময় হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মীরা পায়ের কণা বের করতে না পারলে ভিজিট ফেরত দেওয়ার শর্তে ৭০০ টাকা ভিজিট নেন। হাসপাতালের চিকিত্সক রোগীকে দেখে পায়ের কণা বের করতে বিশেষ যন্ত্র না থাকার কথা জানান। যন্ত্রটি এ হাসপাতালে না থাকায় চিকিত্সক রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরার্মশ দেন।
পরে অভ্যর্থনা বুথে রোগী ভিজিট ফেরত চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা তা ফেরত দেবেন না বলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তুহিন আহমেদ এসে রোগীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। তার সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীসহ কমপক্ষে ১২ জন মিলে রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ঠোঁট, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এ সময় তিনি (স্ত্রী) ও রোগীর চার বছরের সন্তান কান্নাকাটি করেন। তাদের কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন এলে প্রহার বন্ধ করেন।
শ্রীপুর থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান, ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাননি। এ ব্যাপারে পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারের অভ্যর্থনা বুথের কর্মী হাসিব জানান, পায়ে গেঁথে যাওয়া কণা অপারেশন করার জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র রয়েছে, যা এখানে নেই। তাছাড়া তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক অভিযুক্ত তুহিন আহমেদ বলেন, ‘রোগী নিজেও অনেক খারাপ আচরণ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর ভিজিট ফেরত না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া রোগীর অসুস্থতার ব্যাপারে চিকিত্সক তার পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বার্তার এক ফাঁকে রোগীর গায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত লেগেছে।’