ফুটবল বিধাতার হেঁয়ালি বোঝা সত্যিই দায়! কেননা কাতারে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা যার হাতে দেখতে উন্মুখ ছিল গোটা ফুটবলবিশ্ব, সেই আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির গলাতেই শেষ পর্যন্ত উঠেছে বরমাল্য। এদিকে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আলবিসেলেস্তে পুরুষেরা ঘরে তুলেছে ৩৬ বছর পর তাদের তৃতীয় শিরোপা। অপরদিকে আর্জেন্টিনা নারী দল যেনো তার পুরাটায় বিপরীত। কেননা ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হওয়া নারী ফুটবল বিশ্বকাপে এখনও শিরোপা দেখেনি তারা। নতুন রুপে নিজেদেরকে জানান দিতে নবম নারী ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী ইতালির বিপক্ষে ১-০ গোলের হোঁচট খায় আলবিসেলেস্তে নারীরা।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ইতালির বিপক্ষে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলের আক্রমন আর পাল্টা আক্রমনের খেলা জমে উঠে। কিন্তু তেমন কোনো সুযোগই করতে পারেনি আর্জেন্টিনা উল্টো ইতালির আক্রমণ ঠেকাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।
তবে ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইতালি গোলের দেখা পেয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের সংকেত সে যাত্রায় রক্ষা পায় আলবিসেলেস্তে নারীরা। গোল দিতে মরিয়া আর্জেন্টিনা পাল্টা আক্রমন থেকে ম্যাচের ২১ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পারতেন। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ব্যর্থ হন লাতিন আমেরিকার দেশটি। এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে আবার গোলের দেখা পায় ইতালি। তবে এবারও অফসাইডে কাটা পরে গোল। প্রথমার্ধের বাকি সময় দুই দলের কেউ আর গোলের দেখা না পেলে গোল শূন্য নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতিতে থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা নারীদের জন্য সহজ সুযোগ আসে, ডি বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেয়েছিল। তবে ইলিয়ানা স্ট্যাবিলের ফ্রি কিক দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক ফ্রেন্সেসকা দুরান্তে। এরপর নিয়মিত আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি কেউই।
তবে অবশেষ ৮৭ মিনিটে ম্যাচের গোলের দেখা পান ইতালিয়ান জিরেল্লি। বামপ্রান্ত থেকে লিসা বোয়াত্তিনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান তিনি এতেই শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ তে লিড নেয় ইতালি। ম্যাচের বাকি সময় আর গোলের দেখা না পেলে ১-০ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইতালির মেয়েরা।