সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্টের বেড়ে যায়। ২০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৩৯ পয়েন্ট। তবে সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।
দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে বড় উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও দেখতে দেখতে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে লেনদেন শেষে এক প্রকার ধসে পরিণত হয় শেয়ারবাজার। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় যেখানে ২০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, সেখানে লেনদেন শেষে মাত্র ৫২টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০০টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ওয়ালটন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লাফার্জাহোলসিম বাংলাদেশ, সাইফ পাওয়ার টেক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং ইসলামিক ফাইন্যান্স।