ফাইনালে উঠতে ১৬৪ রানের টার্গেট টপকাতে হত চিটাগং কিংসকে। হাসান মাহমুদ শুরুতেই খুলনাকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ন দুই ব্রেকথ্রু। প্রথমে পারভেজ হোসেন ইমন, এরপর হাসান দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন গ্রাহাম ক্লার্ককে। দু’জনেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সমান ৪ রান করে।
নাসুম নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন ইনফর্ম শামীম পাটোয়ারির উইকেটও। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাসেনি শামীমের ব্যাট। বাউন্ডারি বিহীন ৭ বলের ইনিংসে শামীম রান পান ৫। পরপর দুই উইকেট শিকার করে আবার ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা টাইগার্স।
বরাবরের মতো খাজা নাফে শুরু থেকেই বিধ্বংসী আচরণ করেন খুলনা টাইগার্সের বোলারদের উপর। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা।
আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে আগে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোহাম্মদ নাইম শেখ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ১১ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান মিরাজ ও অ্যালেক্স রোস। ৬ বল খেলা রস শূন্য হাতে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। আর মিরাজ করেন ২ রান।
আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ না পেলেও আজ দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার কাজটা করেন দারুণভাবে। বিনুরাকে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন হেটমায়ের। এর মাঝে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে উইকেট হারান মাহিদুল অংকন।
ফিফটির পর যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন হেটমায়ের। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে জেসন হোল্ডার দেখছিলেন হেটমায়ের শো। প্রথম ৩ ওভারে কেবল ৬ রান খরচা করা চিটাগং কিংসের পেসার বিনুরা ফার্নান্দো নিজের শেষ ওভার করতে শিমরন হেটমায়েরের ঝড়ের সামনে রান দেন ২১।
তবে শেষ ডেলিভারিতে হেটমায়েরকে ক্যাচ বানিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পান বিনুরা। ৩৩ বলে ৬৩ রান নিয়ে শিমরন হেটমায়ের যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন খুলনার রান তখন ১৯ ওভারে ১৪৬। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস।