কুশল মেন্ডিস এবং চারিথ আসালাঙ্কার ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছে লাল-সবুজ দকের টপ অর্ডার।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে নামেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেন ওপেনার সৌম্য। তবে এ জুটিও আজ দলকে জয়ের পথ দেখাতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই দলীয় ২১ রানে আভিস্কা ফার্নান্দোর প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য।
এদিকে শান্ত ফেরার পর ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। বিপিএলে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটার আজ অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন। সৌম্য ফেরার পরের ওভারেই তিনি আউট হন ব্যক্তিগত ৮ রানেই।
হৃদয় ফেরার পর ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঠে নেমে শুরু থেকেই আজ হাত খুলে খেলেছেন রিয়াদ। শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে ২৮ বলেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ৩৮ রান। তবে শান্ত আজ রিয়াদকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ২০ বলে ২২ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরেন দলীয় ৩৮ রানে।
এদিকে রিয়াদ ফেরার পর টাইগারদের জয়ের স্বপ্ন দেখান জাকের আলী। বিপিএল দিয়ে নজরকাড়া এই ব্যাটার খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস।
লঙ্কান বোলারদের সামলে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান তুলেছেন তিনি। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ প্রয়োজন ছিল টাইগারদের। তবে দলীয় ১৯৭ রানে দাশুন শানাকার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন জাকের, এর আগে ৩৪ বলে ৬টি ছয় এবং ৪টি চারে খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস।
এদিকে জাকের ফেরার পর শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল টাইগারদের। তবে শেষ বলে কেবল ১ রান নিতে সমর্থ হন তাসকিন। ফলে ৩ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিস। ইনিংস শুরুর করতে নেমে শরিফুল ইসলামের করা প্রথম বলেই চার হাঁকান আভিষ্কা। তাতে ভালো শুরু আভাস দেন লঙ্কান এই ব্যাটার।
তবে পরের বলেই উইকেটের পিছে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরনে তিনি। দলীয় ৪ রানে ২ বলে ৪ রান করে পেসার শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আভিস্কা।
এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ৩৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৩৭ রান ১৪ বলে ১৯ রান করা কামিন্দুকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। যেখানে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মেন্ডিস। দ্বাদশ ওভারে রিশাদ হোসেনের পর পর দুই বলে ছয় হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন এ ব্যাটার। জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ১৩৩ রানে রিশাদের বলে মেন্ডিস আউট হলে ভাঙে ৯৬ রানের এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৫৯ রান করেন কুশাক মেন্ডিস। শেষদিকে রানের জুটি গড়েন সামারাবিক্রমা ও আসালঙ্কা। যেখানে দারুণ এক অর্ধশতকের দেখা পান সামারাবিক্রমা।
অন্যদিকে আসালঙ্কার ৪৪ রানের ঝড়ো ক্যামিও তে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত ৬১ রানে সামারাবিক্রমা ও আসালঙ্কা ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আর বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল, তাসকিন ও রিশাদ।