অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন আর নেই। থাইল্যান্ডের কো সামুইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হৃদরোগের কারণেই মারা গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এমনও লেখা হয়েছে, সাড়া দিচ্ছেন না ওয়ার্ন। চিকিৎসকদের মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও ওয়ার্নকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
১৫ বছর ধরে মাতিয়েছেন ক্রিকেট মাঠ। এই ১৫ বছরের ক্রিকেটজীবনে খেলেছেন ১৪৫ টি টেস্ট ম্যাচ। খেলেছেন ১৯৪টি ওয়ানডে। ১৪৫টি টেস্ট ম্যাচ থেকে ওয়ার্ন সংগ্রহ করেছেন ৭০৮টি উইকেট। ১৯৪টি ওয়ানডে থেকে কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের ঝুলিতে ২৯৩টি উইকেট। ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সফরে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মাইক গ্যাটিংকে যে বলে বোল্ড করেছিলেন তা শতবর্ষের সেরা ডেলিভারি হিসেবে খ্যাত। ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সাথে তাঁর ব্যাট ও বলের দ্বৈরথ সবারই জানা। ক্রিকেট মাঠের আনাচকানাচে তিনি রেখে গিয়েছেন অসংখ্য মণিমুক্তো। ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন।
১৯৯২ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় ওয়ার্নের। ২০০৭ সালের ২ জানুয়ারি শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছিল সেই টেস্ট ম্যাচ। ১৯৯৩ সালের ২৪ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে-তে প্রথম ম্যাচ ওয়ার্নের। বল হাতে তাঁর লেগ স্পিন অস্ট্রেলিয়াকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। মাঠের বাইরেও তিনি ছিলেন বিতর্কিত চরিত্র। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটমহল।
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি এই খবর বিশ্বাসই করে উঠতে পারছেন না। জীবন ক্ষণস্থায়ী। এই খবর বিশ্বাস করা রীতিমতো কঠিন। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরে বিধ্বস্ত। বিশ্বক্রিকেট বাকরুদ্ধ। যে মানুষটা মাঠের ভিতরে ছিলেন প্রাণবন্ত, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, হারার আগে কোনওদিন হার মানতেন না, সেই শেন ওয়ার্ন কাউকে কিচ্ছুটি বুঝতে না দিয়ে, সবাইকে অবাক করে দিয়ে চলে গেলেন।