সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শেখ হাসিনার পর আপনাদের (জনগণ) কী হবে, তা আমার চিন্তার বিষয় না। আমাদের পরিবারেরও চিন্তার বিষয় না। আপনারা বুঝবেন। তবে এইভাবে হত্যা করে সংঘর্ষ করে ক্ষমতা দখল করা যাবে না।
সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয় কোটা সংস্কার নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান আবারও তুলে ধরেন। জয়ের ভিডিও বার্তা ঢাকা পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–
শুরু থেকেই আমরা কোটা সংস্কারে পক্ষে ছিলাম। আমরা তাদের আলোচনায় ডেকেছি, জুডিশিয়াল কমিশন করেছি। কিন্তু আমরা যতোই তাদের দাবি মেনে নেই তাদের দাবি একের পর এক বাড়তে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের দাবি সরকারের পতন। কিন্তু সরকারের পতনের পর কী হবে? এটা কেউ ভেবেছে? আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক। সরকার পতন করে নতুন সরকার আসার একটিমাত্র পথ আছে, আর তা হলো নির্বাচন। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে কোনো অনির্বাচিত এক মিনিটের জন্যও থাকতে পারবে না।
তাদের নির্বাচনের দাবিও যদি আমরা মেনে নেই তাহলে তারা আরও দাবি বাড়িয়েই যাচ্ছে। পরে যদি আমরা নির্বাচনও দেই এবং সরকার পতনের দাবি মেনে নেই, তাহলে তারা বলবে আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন মানব না। এই দেশে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। যদি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা না থাকতো, তাহলে এতো উন্নয়ন হতে পারত? বাংলাদেশ এতদূর আসতে পারত? কেউ কল্পনা করতে পারেনি বাংলাদেশ এতো উন্নয়ন করবে।
ভিডিও বার্তার শেষে অভিমানের সুরে জয় বলেন, ঠিক আছে, শেখ হাসিনার পর আপনাদের (জনগণ) কী হবে, তা আমার চিন্তার বিষয় না, আমাদের পরিবারেরও চিন্তার বিষয় না। আপনারা বুঝবেন। তবে এইভাবে হত্যা করে সংঘর্ষ করে ক্ষমতা দখল করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ঢাকায় হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন সাধারণ জনসাধারণ।