বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বর্তমানে সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনা করছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা। খবর ক্যানবেরা টাইমসের।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র আন্দোলন দমনকালে গণহত্যা ও গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টার তথ্যমতে, ছাত্র আন্দোলন দমনের অভিযানে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে কারফিউ কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘গুলি করার অনুমতি’ দেওয়া হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি তখন বলেছিলেন, “ছাত্র ও সাধারণ বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ করতে শেখ হাসিনার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “এই ধরনের সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করার নজির বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নেই এবং এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রক্রিয়াগত দৃষ্টান্ত গড়ে ওঠেনি।”
তবে তারা জানিয়েছে, “একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা একটি বিস্তারিত ‘ডিগ্রি বাতিল নীতিমালা’ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।”
এরই মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির অনুরোধ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।