১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করা হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতি বছর। সোমবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে ১৮ অক্টোবর দিনটি জাতীয়ভাবে পালন করার জন্য ‘ক ক্রমিক’ (এ গ্রেড)-এ তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করার মাধ্যমে সচিবালয় বিভাগের মিটিং রুমে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ চালু করেছেন উল্লেখ করে বলেন, আইসিটি বিভাগ ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। এ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোট ৩০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘স্কুল অব ফিউচার’-এ পরিণত করা হবে। বৈঠকে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ১০/১২ বছর ধরে ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করে আসছে।
মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও প্রাধিকার) আইন, ২০২১-এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এ আইনটি বিদ্যমান ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশের স্থলে প্রতিস্থাপিত হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়ায় বিচারকদের জন্য পাচক ভাতার বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে এবং প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের সম্পূরক ভাতা বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের খসড়া (ভ্রমণ ভাতা) আইন, ২০২১ অনুমোদন করা হয়। এটি বিদ্যমান ১৯৭৬-এর অধ্যাদেশের স্থলে প্রতিস্থাপিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে শুধু কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছে। সময়োপযোগী করার জন্য ভাতাদি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।’ মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অ্যান্ড বার কাউন্সিল আইন, ২০২১-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বার কাউন্সিল নির্বাচনব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদি একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করার এখতিয়ার দিয়ে একটি বিধান রাখা হয়েছে।