বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা শারমিন।
১৫ আগস্টের শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দিশেহারা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ালেও ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সংকটে পড়া আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াতে রাজি নন তাজউদ্দিন পরিবার।
দুর্নীতিগ্রস্ত দলটিকে উজ্জীবিত করা সহজ নয় মন্তব্য করে শারমিন আহমদ জানান, ৭৫’এর পর তার মা যখন আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসতে শুরু করেন, তখন দিল্লি থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ আর দল থাকল না, পরিবারের হয়ে গেল।
শারমিন আহমদ বলেন, ‘এটা খুব কষ্টের ব্যাপার যে উনি (শেখ হাসিনা) একটা পরিবার লীগ গঠন করে ছিলেন। উনি যখন নেতৃত্বটা নিলেন তখন আওয়ামী লীগের স্বকীয়তা কিন্তু দিনে দিনে হারিয়ে গেল। ভালো ত্যাগী নেতা-নেত্রীরা ঝড়ে পড়লেন। সব সাইডলাইন হয়ে গেল। আর তখন ওনার একটি পরিবারতন্ত্র কায়েম করলেন, আওয়ামী লীগের ব্যানার টানানো শুরু করলেন, মুক্তিযুদ্ধের ব্যানার ব্যবহার করলেন।’
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আংশিকভাবে তুলে ধরেছে মন্তব্য করে তাজউদ্দিন আহমেদের বড় মেয়ে বলেন, সেখানে শেখ পরিবারের ইতিহাসই প্রাধান্য পেয়েছে।
সাক্ষাৎকারে আত্মোপলব্ধি থেকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়ারও আহ্বান জানান শারমিন আহমদ।