গত সাত মাসে অভিযান চালিয়ে ১৪৩ কেজি ৫৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০৩ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে স্বর্ণ জব্দের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক বলেন, আজ স্বর্ণ জব্দের বিষয়ে কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা ও ফৌজদারি মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭ সালের বিধিমালা অনুসারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এয়ারক্রাফটটি অন্তর্বর্তীকালীন জিম্মা গ্রহণের আবেদন করায় তা জিম্মা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে (এখন পর্যন্ত) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ১৪৩ কেজি ৫৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরে (২০২০-২০২১) ১৭৪.৪৯ কেজি ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৮০.৩৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা।
আজকের স্বর্ণ জব্দের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টায় দুবাই থেকে ঢাকা ফেরত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (ফ্লাইট নং বিজি- ০৪৮) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম বিমানের অভ্যন্তরে বিশেষ তল্লাশির জন্য প্রবেশ করেন। দীর্ঘ তল্লাশির পর ওই এয়ারক্রাফটের নিচে ৮টি পাইপের অভ্যন্তরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা স্বর্ণের ৯টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেট খুলে মোট ৯০ পিস স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় সাড়ে ১০ কেজি। বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। জব্দ করা স্বর্ণবারগুলো কাস্টম হাউসে জমা দেওয়া হবে।