মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী যে চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন, সেটার প্রভাব কবে থেকে বাজারে পড়বে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি স্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। কারণ আজ অথবা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাব।
তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন। তার আগেই আমরা ট্যারিফটা পুনর্নির্ধারণ করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত আছেন। তিনি আসার সঙ্গে-সঙ্গে ট্যারিফ কমিশন আমদানি ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেব। যেটার দ্রুত ইফেক্ট আপনারা দেখতে পাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের ট্যারিফে চারটি পণ্য হলো, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিতে। সেক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টা হলো মুক্ত বাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া। যাতে বাজারে কখনো সরবরাহে ঘাটতি না থাকে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো স্থানে যেন কারসাজি না হয়। ভোক্তা অধিকার যখন অভিযানে যায় তখন তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না। কোন চাল কম উৎপাদন হয়েছে, মেয়াদ কত দিন, দাম কতো, এসব তথ্য আমরা পাই না। এজন্য আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে চালের তিন মৌসুমের তথ্য কৃষি মন্ত্রণালায় আমাদের দেবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলারদের নির্দেশনা দেবে যে ধান ভাঙাবে সে ধানের উৎপাদনের বছর ও মিলিংয়ের তারিখ, উৎপাদন মূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরা মূল্য এসব তথ্য যেন বস্তায় উল্লেখ থাকে।