উপলক্ষ্যে, তাদের অভিনীত শেষ ছবি ধূমকেতু ছবির মুক্তি ও প্রচার ঝলক অনুষ্ঠান। গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল এই জুটির হাজারো অনুরাগীরা।
সকাল থেকেই নজরুল মঞ্চের বাইরে রাস্তা ছিল ভিড়ে ঠাসা। প্রেক্ষাগৃহের দরজা খুলে দিতেই মুহূর্তের মধ্যে ভর্তি হয়ে যায় দর্শকে। এরপর প্রেক্ষাগৃহে আলাদাভাবে ঢুকলেও মঞ্চে একসঙ্গে হাজির হন দেব-শুভশ্রী।
দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখেই চারিদিকে শুধুই চিৎকার। এরপর গান, খুনসুটি চলার পাশাপাশি শুরু হয় ধূমকেতু নিয়ে কথা।
এসবের মাঝেই ধূমকেতুর অন্যতম প্রযোজক রাণা সরকার দর্শকাসন থেকে দেবের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে ওঠেন, “বাকি সবকিছু ছাড়, আগে বল যে, ‘ধূমকেতু’র পর তুই আর শুভশ্রী কবে আবার জুটি বেঁধে বড়পর্দায় আসবি?” চারিদিকে তখন শুধুই চিৎকার।
প্রযোজকের প্রশ্ন শোনামাত্রই হেসে ওঠেন দেব। তারপর দৃঢ় স্বরে বলে ওঠেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একসঙ্গে আবার ছবি করতেই পারি। কিন্তু তার জন্য আমাদের উপযোগী চিত্রনাট্য তো লিখতে হবে। আমাদের চরিত্রগুলো নিজেদের মনমতো হতে হবে। এসব কিছু ঠিক থাকলে অবশ্যই পর্দায় আমরা জুটি বেঁধে আবার আসব।
পাশ থেকে শুভশ্রী প্রস্তাব দিলেন, পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলিকেই আবার জিজ্ঞেস করা হোক, উনি আবার কবে দেব-শুভশ্রী জুটিকে নিয়ে ছবি করবেন।
হাসতে হাসতে সেই জবাব দিয়ে উঠলেন দেব – “ধুর! কৌশিকদা আমাদের নিয়ে ছবি করবেন নাকি? উনি শুধু নিজের ছবি প্রসেনজিৎ, জয়া আহসান….তাদের কাছে নিয়ে যান।” অভিনেতার জবাব শুনে ততক্ষণে হাসির রোল উঠেছে দর্শকের মধ্যে।
এরপর ‘ধূমকেতু’র ঝলক মুক্তির আগে প্রযোজনা সংস্থার সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানালেন দেব। একে একে ডেকে নিলেন নিজের এবং শুভশ্রীর ব্যক্তিগত টিমের সদস্যদের। নিজের এবং শুভশ্রীর পাশে মঞ্চে ডেকে নিলেন প্রযোজক এবং ছবির অন্যান্য শিল্পীদেরও।
সবাই সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে উঠতেই দেব বলে ওঠেন, “ব্যাস! ঠিক আছে। এবার একটা ফ্যামিলি ফটো হয়ে যাক!” নিয়ে নিলেন নিজ হাতেই সেলফি….।