বাজারে এসেছে শীতের সবজি ফুলকপি, পাতাকপি ও শিম। পাওয়া যাচ্ছে আমদানি করা গাজর টমেটোও। তবে দাম নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ফুলকপি পাতাকপির দাম কমলেও কমেনি শিম টমেটো আর গাজরের দাম।
রাজধানীর পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ার অলি মিয়ারটেক বউ বাজার ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজার ঘুরে জানা যায়, কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আর টমেটো ১২০-১৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও গাজরের দাম ছিল ১৩০ টাকা। এখন কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। আর আলু যথারীতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
ফুলকপি ও পাতাকপি গত সপ্তাহে ছিল পিস ৪০ টাকা। এ সপ্তাহে পিস প্রতি ১৫ টাকা করে কমলেও সাইজে ছোট।
আবুল মিয়া নামে ক্রেতা বলেন, দুটোর দাম কমলে বাড়ে আরও তিনটি সবজির দাম। শাকের দাম কমেছে কিন্তু বেড়েছে মরিচের দাম। বাজারে সবজির অভাব নেই। কিন্তু অধিকাংশ সবজির দাম ৫০ টাকার বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার স্পষ্ট কারণ জানা নেই। তবে, অধিকাংশ সবজিই গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
বউ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৭০ টাকায়। আজ তা কিনতে হয়েছে ৪৫ টাকায়। বিক্রি তো ৫৫-৬০ টাকায়। তবে গোল বেগুন ৭০ টাকা।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। কাঁকরোলে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও যা ছিল ৫০ টাকা। শসার দাম হেরফের না হওয়ায় ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৬০, কচুর মুখি ৬০ ও লতি ৬০ টাকা। দাম কমায় করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা। তড়ই ৬০, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, পটল ৫০। মুলার কেজি আগের মতোই ৬০ কেজি। কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা।
বিক্রেতা খোকন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহেও এসব সবজির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি ছিল। তবে শুধু পেঁপেই মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
ওয়াহেদুল ইসলাম নামে ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি নামছে কিন্তু দাম অনেক বেশি। শিম খেতে মন চায় কিন্তু কেজি ১৪০ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে আড়াইশ গ্রাম শিম কিনেছি।
বাজার ঘুরে জানা যায়, কমেছে শাকের দাম। পাট শাক দুই আটি ১৫, কলমি শাক দুই আটি ২০, কচুর লতি দুই আটি ১০, মুলা দুই আটি ২০, লাল শাক দুই আটি ২০, পুই শাক ২০ ও শাপলা ডাটা ১০ টাকা। তবে ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেবুর হালি ১০ টাকায় মিলছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের পছন্দের লাউয়ের দাম ১০-১৫ টাকা করে কমেছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লাউ। জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস।
শাক বিক্রেতা রাজু বলেন, শাকের দাম বেশি ছিল। লাল শাকের এক আটি ছিল ২০ টাকা। এখন তা জোড়া ২০। পুই শাকের দামও কমেছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশি।
টমেটো ও গাজরের দাম শুনে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। যারাও কিনছেন তারা অল্প করে কিনছেন।
সবজি কিনতে আসা নাছরিন বেগম বলেন, সামর্থ্যের মধ্যে শাক, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু মরিচের দাম বেড়েছে। লাউয়ের দামও বাড়তি। আলুও ৩৫ টাকা। বাকি সবই ৬০ টাকার ওপরে।
মরিচের দাম সম্পর্কে বিক্রেতা রইছ উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে পাঁচ কেজির পাল্লা কিনেছি ২২০-২৫০ টাকায়। আজ তা ৩৫০ টাকা। প্রায় ১৫০ টাকা বেড়েছে। তাই খুচরাতেও বেড়েছে। আড়াইশ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।