তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন শি জিনপিং। শনিবার (২২ অক্টোবর) চীনির কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সম্মেলনে শি জিনকে দলের মূল নেতা হিসেবে আবারও অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এর মাধ্যমেই নজীরহীনভাবে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন তিনি।
বেজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সপ্তাহজুড়ে চলা সিসিপির পঞ্চবার্ষিক সম্মেলন শেষ হয়েছে আজ। এদিন পার্টিতে ব্যাপক রদবদল আসে, যেখানে লি কেকিয়াংকে সরিয়ে শিকে পার্টির প্রধান করা হয়। তাছাড়া পূর্ণ তালিকা প্রকাশ না করেই বেলা ১১টায় প্রায় ২০০ জেষ্ঠ্য নেতা নিয়ে সিসিপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, আয়োজন শেষ হওয়ার আগেই সাবেক নেতা হু জিনতাওকে সম্মেলন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বের করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি সিসিপি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, পূর্ণ তালিকা প্রকাশ না করেই শনিবার সকাল ১১টায় প্রায় ২০০ জ্যেষ্ঠ নেতা নিয়ে সিসিপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি হয়।
গত রোববার শুরু হওয়া সম্মেলনে শি’র কাজের প্রতিবেদন ও পার্টির সংবিধানের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ভোট দেন প্রতিনিধিরা। আগামীকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) সিসিপির নতুন কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন শি।
আগামী বছরের মার্চে সরকারের বার্ষিক আইনি সভার অনুমোদনে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসবেন তিনি।
এ সপ্তাহের মধ্যে পলিটব্যুরোর ২৫ সদস্য ও পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটর রদবদলের অনুমোদন করবে সিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
মাও সে তুংয়ের পর সবচেয়ে ক্ষমতাধর চীনা নেতা হিসেবে দেখা হয় শি জিনপিংকে। তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হতে পারলে চীনের ক্ষমতায় তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হবে। অনেকেই মনে করছেন, এমনও হতে পারে যে, ৬৯ বছরের জিনপিং আজীবনের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখবেন।
বর্তমানে শি জিনপিং তিনটি শীর্ষ ক্ষমতাধর পদ ধরে রেখেছেন। সেগুলো হলো- জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে তিনিই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এক নম্বর নেতা, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই চীনের রাষ্ট্রপ্রধান ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই চীনা সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার।