পাবনায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় এক অভিভাবকের মেয়ের ভর্তি বাতিল করে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আশরাফুল আলম নামের ওই অভিভাবক সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে অভিভাবক আশরাফুল আলম উল্লেখ করেন, চলতি বছর তার মেয়ে আরিশা আলমকে (৬) ১৭৫ নম্বর মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করেন। তার রোল নম্বর ২৩ এবং সে নিয়মিত ক্লাস করে। কিন্ত প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত আক্রোশে কোনো কারণ ছাড়াই তার মেয়ের ভর্তি বাতিল করেন এবং স্কুল থেকে শিশুটিকে বের করে দেন। দুর্গম এলাকায় বসবাসের কারণে তার মেয়েকে এখন দূরে কোথাও ভর্তি করতে পারছেন না।
এতে আরও বলা হয়, ওই বিদ্যালয়ে সবশেষ ২০১৭ সালে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। ২০২১ সালে তার মেয়াদ শেষ হলেও প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান নিজের প্রভাব ও স্বেচ্ছাচারিতা বজায় রাখতেই নতুন কমিটি করছেন না। স্কুলে ঠিকমতো ক্লাসও হয় না। জাতীয় দিবসে সরকারি অনুষ্ঠান পালন তো দূরের কথা, জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয় না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান অভিভাবক আশরাফুল আলমের ওপর ক্ষুব্ধ হন। সেই ক্ষোভ মেটান তার মেয়ের ভর্তি বাতিল করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক আবুল হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করার এখতিয়ার প্রধান শিক্ষকের নেই। কোনো শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে হোম ভিজিট করে তাকে বিদ্যালয়ে আনতে হবে। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, এভাবে কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা আইনত অপরাধ ও অমানবিক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।