গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শিশুর কান্নার উৎস খুঁজতে গিয়ে বসতঘর থেকে মরিয়ম খাতুন (৩৩) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মে) সকালে কোনাবাড়ীর দক্ষিণ হরিনারচালার মো. ইকবাল হোসেনের ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. জয়নাল পলাতক রয়েছেন।
নিহত মরিয়ম খাতুন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী মো. জয়নালের সঙ্গে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে থাকতেন। জয়নাল আজমেরী পরিবহন গাড়ির সুপার ভাইজার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কোনাবাড়ীর দক্ষিণ হরিনারচালার গ্রামের মো. ইকবালের বাড়িতে স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ও চার বছর বয়সী সন্তান নুসরাত জাহান মায়াকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন জয়নাল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া মোছা. করুনা বেগম মরিয়মের মেয়ের মায়ার কান্নার শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পান। পরে দরজা খুলে গলায় গামছা পেঁচানো মরিয়মের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পরে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় নিহতের স্বামী জয়নালকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
কোনাবাড়ী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার রাতে কোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছেন। ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।