দেশের শিল্প খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা দেশের শিল্প খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ী নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) মাহবুবুর রহমান।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এর সূত্র ধরে শিল্প, অর্থ এবং উৎপাদন সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ী নেতারা এসময় প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে উল্লেখ করে শিল্প এলাকাগুলোয় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এসময় শিল্পকারখানাগুলোকে নিরাপদ রাখা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার জানিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে শিল্পকারখানাগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া’।
ড. ইউনূস বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের জন্য বড় সুযোগ এসেছে। আমাদের শ্রম আইনগুলোকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর মানে নিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বেশি ক্রয়াদেশ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলেও ব্যবসায়ীদের অবহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠকে শ্রমখাতে সংস্কারের উপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে আরও বেশি ক্রয়াদেশ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ, মীর নাসির হোসেন, সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।