বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের ৫০ বছর স্মরণে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, লেখক এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর উপস্থিতিতে এটি উন্মুক্ত করা হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবর্গ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম বিষয়ক একটি মনোগ্রাফও উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে ভারতে রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্মের প্রথম স্বতন্ত্র প্রদর্শনের সূচনা হয়েছে। যা আগামী ২৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির ললিত কলা একাডেমিতে শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে আইসিসিআর কর্তৃক আয়োজিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি আগামী ডিসেম্বরে কলকাতায়ও অনুষ্ঠিত হবে।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক সজ্জিত এই প্রদর্শনীটি শান্তিনিকেতনে অধ্যয়নকালীন শিল্পীর মনোমুগ্ধকর যাত্রাকে চিত্রিত করেছে। তিনি শান্তিনিকেতনে সোমনাথ হোর, সনৎ কর এবং লালু প্রসাদ শ’র তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশে তার শিল্পীজীবনের প্রসার ঘটিয়েছেন। দেশে তার পরামর্শদাতাদের মধ্যে আছেন সফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ কিবরিয়া।
রোকেয়া সুলতানা একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশী প্রিন্টমেকার এবং চিত্রশিল্পী। তার স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে নবম এশিয়ান বিয়েনালে; জাতীয় শিল্প প্রদর্শনী, ঢাকা; তৃতীয় ভারত ভবন বিয়েনালে, ভারত এবং প্যারিসের L’Atelier Lacouriere et Frelaut-এ একটি আবাসিক বৃত্তিও পেয়েছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।