শিল্পীদের গানে, কবিতায়, নাটকে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অনুষ্ঠান ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’। গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বীরাঙ্গনা নৃত্যালেখ্য পরিবেশনার সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয়। শামীম সাগরের গ্রম্হনায় নৃত্যালেখ্যটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নির্ঝর চৌধুরী। ধারা বর্ণনা করেছেন রেহেনা পারভীন। একক কণ্ঠের সংগীত পরিবেশনায় রূপা ফরহাদ শুনিয়েছেন ‘স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে’ শীর্ষক সংগীত।
আলোচনা পর্বে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। সাংস্কৃতিক পর্বে একে একে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। ‘দেখ চোখ মেলে শোনো কান পেতে’ গানের সঙ্গে সাহিদা রহমান সুরভীর পরিচালনায় বহ্নিশিখা নৃত্যদল নৃত্য পরিবেশন করে। সুইটি দাস চৌধুরীর পরিচালনায় পরিবেশিত হয় নৃত্যালেখ্য ‘স্মৃতিতে সোহাগ পুর’। মেহেরাজ হক তুষারের পরিচালনায় রিদম্ ড্রান্স গস্খুপ পরিবেশন করে নৃত্যালেখ্য ‘মুক্তিযোদ্ধার বৌ’।
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রূপা ফরহাদ, মো. রফিকুল আলম, আকরামুল ইসলাম পরিবেশন করেন ‘ও আমার দেশের সোনা’; মনোরঞ্জন ঘোষাল পরিবেশন করেন ‘ও দরদী নাইয়ারে তুমি কি টুঙ্গিপাড়ায় যাও’; শিবু রায় পরিবেশন করেন ‘স্বাধীনতা আমার মায়ের আঁচল’। সংগীত পরিবেশন করেন সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের মাইনুল আহসান, এম এ মোমিন পরিবেশন করেন ‘মুজিব বাইয়া যাওরে’; ঊর্বী সোম পরিবেশন করেন ‘তোমাকে ছালাম হে জাতির পিতা; আশা খন্দকার পরিবেশন করেন ‘দুখিনী বাংলা জননী বাংলা’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তামান্না তিথি।