রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, সংবিধানের মূলনীতিতে শিক্ষাকে মৌলিক প্রয়োজন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্র শিক্ষার চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকবে বলেও ঘোষণা ছিল। কিন্তু ৫০ বছরেও শিক্ষা মৌলিক চাহিদা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো রাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তীচ্ছুদের চলমান আন্দোলন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে নির্ধারণের দাবি তুলেছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এটির ব্যত্যয় হয়েছিল বলেই তিনি সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
‘সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে শিক্ষাকে মৌলিক প্রয়োজন বলা হয়েছে। আবার এও বলা হয়েছে, এটি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য না। ফলে শিক্ষার অধিকার আদায়ে মানুষ আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারছে না। সংবিধানের ৫০তম বার্ষিকীতে শিক্ষাকে মৌলিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলে ধরতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা মৌলিক চাহিদা নয় বলেই শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। যার কোনো জবাবদিহিতা নেই । শিক্ষা খাতের বরাদ্দ অন্যান্য খাতের তুলনায় নগণ্য।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবি তোলেন। তারা বলেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ একজন শিক্ষার্থীর অধিকার। পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি না করে উল্টো দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা এতে উচ্চশিক্ষার অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছাইয়্যেদুল হক নিশান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায় প্রমুখ।