জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ সার্বজনীন শিক্ষা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দসহ চার দফা দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে দেশের আটটি বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
শিক্ষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ওই সমাবেশের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তান থেকে এ দেশ রাজনৈতিক মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারী সরকার থেকে মুক্তি পায়নি। স্বৈরাচার সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য তারা দেশের বিভিন্ন খাতে হাত দেয়। যেমনটা করেছিলেন স্বৈরাচার আইয়ুব খান, স্বৈরাচার এরশাদ সরকার- তেমন আমরা আজকেও দেখতে পাই।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কে কত বেশি তোষামোদ করতে পারে, তার উপর ভিত্তি করে উপাচার্যের পদে সমাসীন করা হয়। আমরা পাকিস্তান থেকে রাজনৈতিক মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাইনি।
অন্যদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাকিবুল রনি বলেন, আজকে দেশের মন্ত্রী-এমপি, আমলাদের ছেলে-মেয়েরা দেশের বাইরে পড়াশোনা করে। এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হবে কি করে? সরকার শুধু উন্নয়ন উন্নয়নের কথা বলে। শিক্ষাক্ষেত্রে কেমন উন্নয়ন হয়েছে? জিপিএ-৫ এর উন্নয়ন হয়েছে। অযোগ্যকে জিপিএ-৫ দেখানোর উন্নয়ন হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, সরকারের উন্নয়নের মেট্রোরেলে রিকশাচালক উঠতে পারবে কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষার্থী ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে টিএসসি থেকে উত্তরা যাওয়ার সামর্থ্য রাখে? এই বিষয়ে কাউকে কথা বলতে শুনা যায় না। গত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেবল খাতা-কলমেই আছে। বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এই স্বায়ত্তশাসনহীনতা তখনই প্রমাণ হয়, যখন উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গেস্টরুম-গণরুম বলতে কিছু নেই।