কোনও স্কুলে শিক্ষার্থী কম হলেও সেটাকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এই তালিকা কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত। দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় এলিমেন্টারি স্কুল হয়। এই এলাকায় যে বাচ্চারা থাকে, তারা এই স্কুলে ভর্তি হয়।’
প্রাথমিক সচিব বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যও তেমন। অববাহিকা এলাকায় সবদিক থেকে যদি এমন স্কুল তৈরি করতে পারি, তখন সেখানকার এলাকার শিশুরা ওই স্কুলে ভর্তি হতে পারবে,’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি, ১৫০টির মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০ থেকে ৫০টির মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। আমরা সিদ্ধান্তি নিয়েছে, হঠাৎ করে এসব স্কুল বন্ধ করে দেবো না, একীভূত করবো না।’
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা প্রবণতা দেখেছি, গেল ১০ কিংবা ২০ বছর ধরে যদি কোনো স্কুলে ১০-২০টি শিক্ষার্থী থাকে, আমরা সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করবো না। যেমন, রাঙামাটি জেলায় একটি স্কুল আছে, যেটা ১০-২০ শিক্ষার্থী নিয়ে পনেরো বছর ধরে চলছে। কিন্তু আশপাশের সাত-আট কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। যে কারণে ওই স্কুলটি একীভূত করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবার কোনও কোনও জায়গায় রাস্তার এপাড়ে একটা স্কুল আছে, বিপরীত পাশের ৫০০ গজের মধ্যে আরেকটা স্কুল আছে। এসব স্কুলে ১০-১২ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। আবার আধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০ জনের মতো ছাত্র-ছাত্রী আছে, এমন স্কুল আমরা একীভূত করে দেবো। এমন কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কারিকুলাম প্রণয়ন ও মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কাজেই নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তারা বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তারা ৪ ও ৫ গ্রেডে যে মূল্যায়ন করেন, সেটা নিয়ে আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। পর্যবেক্ষণগুলো এনসিটিবিকে দিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হবে।’
তিনি বলেন, তারা যেটা করেছেন, সেটার বেশিরভাগের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করলেও আমাদের কিছু ভিন্নমত আছে। ভিন্নভাবে মূল্যায়নের।