বুধবার (৬ আগস্ট) মাউশির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলামের সই করা এক স্মারকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট ও রোভার স্কাউট কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্কুল ও কলেজের প্রধানদের নিয়মিত ইউনিট গঠন, সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং সেবামূলক কার্যক্রমে জোর দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি ত্রৈমাসিক শেষে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক স্কাউটিং কার্যক্রমের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে পাঠাতে হবে। আঞ্চলিক অফিসগুলোকে ১০ তারিখের মধ্যে তা মাউশির ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]—এ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, স্কাউট ও রোভার তহবিল থেকে উত্তোলিত অর্থ শুধুমাত্র স্কাউটিং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। অর্থ উত্তোলনের সময় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্কাউট বা রোভার লিডারের যৌথ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত স্কাউট ফি যথাযথভাবে উপজেলা, জেলা স্কাউটস ও রোভার স্কাউটস দপ্তরে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্কাউট বা রোভার লিডাররা প্রতি বছরের জন্য একটি কার্যক্রম পরিকল্পনা তৈরি করবেন। যা সংশ্লিষ্ট গ্রুপ কমিটির অনুমোদনসাপেক্ষে কার্যকর হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিশ্চিত করবেন যে এই পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে এখনও স্কাউট বা রোভার লিডার নিযুক্ত হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলা বা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কাজেও স্কাউট ও রোভার সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি বছর জানুয়ারির ৩১ তারিখের মধ্যে বার্ষিক কার্যক্রমের একটি সমন্বিত প্রতিবেদন আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে হবে এবং আঞ্চলিক অফিসকে তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে মাউশির ই-মেইলেও পাঠাতে বলা হয়েছে।
