১০ বছর ধরে শিকলে বন্দি জীবন কাটছে মানিকগঞ্জের ঘিওরে শুকুর আলীর। বৃদ্ধা মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাবার জোটান। তাই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা। মেলেনি প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারি কোনো সহযোগিতা।
বড়টিয়া গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর ছোট ছেলে শুকুর আলী। ৬ষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। কৃষি কাজ করে জোটাতেন নিজের লেখাপড়ার খরচ। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শান্তশিষ্ট ছেলে হিসেবে গ্রামের সবাই তাকে আদর করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারান তিনি।১৫ বছর ধরে মানসিক সমস্যা দেখা দিলেও পায়ে শিকল পড়েছে ১০ বছর ধরে।
৩ ভাই আর এক বোনের মধ্যে শুকুর আলী সবার ছোট। ভাইয়েরা দিনমজুর। অভাবের সংসার। পরিবার নিয়ে তাদেরই জীবন চলে কষ্টে। তাইতো শুকুর আলীর উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তার বৃদ্ধা মা মতি বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে ছেলের মুখে খাবার তুলে দেন।
অতি দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে শুকুর আলীর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। তাই যদি কোনো সুহৃদয়বান ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় তাহলে পরিবারটির খুবই উপকার হতো।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঘিওর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মানসিক রোগীর চিকিৎসায় সহযোগিতা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে তার প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে চিকিৎসা সহযোগিতা দেয়ার বিষয়েও আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।