২৫ বছর আগের সেই চিত্রনাট্য। তবে এই সময়ে এসে বদলের কথা বলছেন অভিনেত্রী কাজল। তার দাবি, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে ‘অঞ্জলি’ চরিত্রের বিষয়ে তার পরামর্শ নেওয়া হলে অন্য ভাবে ভাবতেন তিনি। মোটেই টি-শার্ট, ট্র্যাক প্যান্ট ছেড়ে শাড়ি পরতেন না। এমনকী শেষ দৃশ্যে রাহুলের (শাহরুখ) বদলে আমানকেই (সালমান) বিয়ে করতে চাইতেন তিনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ছবিটি নিয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন কাজল। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছিল করণ জোহরের প্রথম পরিচালিত ছবি। শাহরুখ, সালমান, কাজল ছাড়া রানি মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। সেই চরিত্রের নাম ছিল টিনা। অঞ্জলি তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হলেও টিনার প্রেমেই পড়েছিল রাহুল। সেই প্রেম পরিণতি পায় বিবাহে। কাজল অভিনীত অঞ্জলি চরিত্রটি বিমর্ষ হয়ে পিছিয়ে যায়। যদিও টিনা বেশি দিন সুখে সংসার করতে পারেনি। একমাত্র কন্যাকে (যার নামও অঞ্জলি) রাহুলের কাছে রেখে সে মারা যায়।
বেশ কয়েক বছর পর রাহুল-কন্যা অঞ্জলি বড় হয়ে বাবার পুরোনো বন্ধু অঞ্জলিকে খুঁজে বের করে বাবার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তখন আবার অঞ্জলির পাত্র দেখা হয়ে গেছে। আমানের সঙ্গে বিয়ে পাকা। তবুও শেষে চিত্রনাট্য অনুযায়ী স্ত্রী-হারা রাহুলের কাছেই যেতে চায় অঞ্জলি। প্রথমবার সুযোগ হারানোর পর দ্বিতীয়বার রাহুলকে পাওয়ার সুযোগ ছাড়তে চায়নি এই চরিত্র। এখানেই কিছুটা আপত্তি কাজলের।
তার কথায়, ‘আমার পছন্দের অঞ্জলি কখনোই শাড়ি পরে সেজেগুজে অপেক্ষা করত না। তাকে ট্র্যাক প্যান্ট এবং টি-শার্টেই ব্যাপক লাগত। সঙ্গে দামি স্নিকার্স। এমনকী আরও ভালোভাবে দেখানো যেত অঞ্জলিকে।’
এরপর কাজলকে আমান এবং রাহুলের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলেও চমকপ্রদ জবাব দেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘চিত্রনাট্য সাজানোর ভার আমার ওপর থাকলে অঞ্জলি আমানের সঙ্গেই যেত। কিন্তু যদি ছবিটার কথা ভাবেন, তাহলে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প ছিল না। শেষে যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। ছবিটি মুক্তির পর করণ জোহর নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, এটি ‘সবচেয়ে অযৌক্তিক’ ছবি। ছবিটি দেখার পর তাকে ফোন করে তিরস্কার করেছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। অঞ্জলিকে কম সুন্দরী দেখিয়ে টিনার প্রতি রাহুলের টান অনুভব করানোর বিষয়টা ভালোভাবে নেননি তিনি। পরবর্তীতে নিজের ভুল স্বীকার করে অভিনেত্রীকে ‘সরি’ বলেছিলেন করণ।