শেষ মাঠে নামা ২০১৫ সালের মে মাসে, ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে। দিনক্ষণের হিসাবে প্রায় ছয় বছর। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ায় ভরসা ছিল ঘরোয়া ক্রিকেট। নিষেধাজ্ঞায় পড়ে এখন সেটাও বন্ধ। ঠিক আর্থিক কষ্টে না ভুগলেও সময়টা খারাপ ডান হাতি পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীবের।
এর মধ্যে আবার মমতাময়ী মা অসুস্থ, দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। মায়ের চিকিৎসার জন্য নিজের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। তবু খেলার বাইরে থাকায় অর্থের সংকুলান করতে পারছেন না সেভাবে। তাই বোর্ডের কাছে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির আবেদনও করেছেন। ভাবা হচ্ছিল, আগে-পরে মিলে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় দলের এ সাবেক পেসার হয়তো শাস্তিমুক্ত নাও হতে পারেন। তার ব্যাপারে বোর্ডকে অনমনীয়ই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু ভেতরের খবর ভিন্ন। শাহাদাত হোসেন রাজীবের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে। বিসিবির অন্যতম শীর্ষকর্তা এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন এ তথ্য।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়ে আকরাম খান বলেন, আমরা মানবিক কারণে রাজীবের শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে তাকে মুক্ত করে দিতে চাচ্ছি। আকরাম আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে বোর্ডের অন্যতম শীর্ষকর্তা ইসমাইল হায়দার মল্লিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও শাহাদাত রাজীবের শাস্তি মাফ করার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। আকরাম যোগ করেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজিবের শাস্তি মুক্তির সুপারিশ করে বোর্ডে পাঠাবো। বোর্ড তা অনুমোদন করলে শিগগিরই মুক্ত হবে রাজীব।
উল্লেখ্য, গত জাতীয় লিগে সতীর্থ খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তোলার কারণে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন রাজীব। তবে পরে এই শাস্তি থেকে দুই বছর স্থগিত করেছিল বিসিবি। এবার মানবিক কারণে বাকি থাকা তিন বছরের শাস্তির ১৬ মাসের মধ্যেই মুক্ত হয়ে যাচ্ছেন শাহাদাত হোসেন রাজীব।