শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সমাবেশ করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, দেশ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। যেখানে বিসিএসের ভর্তি ফি ২০০ টাকা করা হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা আবেদন ফি নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য না। অতি দ্রুত সব ধরনের ফি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানাই।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা। কিন্তু সেই মেধার অবজ্ঞা করে এখনও কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শুধুমাত্র কোটা রাখা যেতে পারে। কিন্তু পোষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয়, তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত পরিবার থেকে আসে। এটা মারাত্মক বৈষম্য। এ রকম বৈষম্য জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সঙ্গে বেইমানি।
শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী কিরণ হাওলাদার বলেন, আবেদন ফি, ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমানোর জন্য দীর্ঘ দিন আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যেসব বিষয় টেবিলে বসে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় সমাধান করতে যেন আমাদের মাঠে নামতে না হয়।